আমরা কারা?

এই প্রশ্নটির উত্তর মানবজাতি শত শতাব্দী ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। প্রাচীন গ্রীসের এক দার্শনিককে আর বর্তমান বিলেতের এক যুবতীকে সময়ের ঊর্ধ্বে যুক্ত করে কিছু আদিম আবেগ আর নিজেদের পরিচয়ের এই অন্তহীন খোঁজ। এরকম পৃথিবীতে, একটা নিবন্ধের মধ্যে একজনের পরিচয় বন্ধ করে রাখার নির্দেশ কী ন্যায্য?

একদম বাল্যকাল থেকেই চলচ্চিত্রের পরিচালক হওয়ার শিশুসুলভ আকাঙ্ক্ষা। এখন কেউ আমায় শিশু বলে মেনে নেবে কী না জানি না, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা এখনও ষোলো আনা। কয়েক বছর আগে থেকে টুকটাক লেখালিখিও করি, তাই আশা করছি যে এটা ওই দুটোর মধ্যে একটা মেলবন্ধন ঘটাতে পারবে।

আজীবন virtual media নিয়ে একটু হিমশিম খেতে হয়েছে, এবং সমবয়সী লোকজনের চেয়ে এক্ষেত্রে আমি অনেকটাই কম পটু। সময়ের সাথে সাথে বন্ধুবান্ধবদের ব্যঙ্গ এবং নবপ্রজন্মের সাথে ব্যবধান, দুটোই বেড়েছে। এটা বলবো না যে এই blog-টাকে আমি সংশোধনের উপায় হিসেবে দেখছি, কারণ “সংশোধন”-এর এখানে কিছু নেই; কিন্তু, এটার দ্বারা একটু ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা যেতেই পারে। আমি অবশ্য আজও হাতে-কলমে লেখাকেই আমার নির্বাচিত পদ্ধতি বলে মনে করি।

চলচ্চিত্রের এবং চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত বিষয়ের ইতিহাস খুব বিচিত্র। সেই বৈচিত্র্যকে ব্যবহার করে শিরোনামের প্রশ্নটার উত্তরের সন্ধানে আমিও বেরিয়েছি। আপনারা সাথে এলে আপ্লুত হবো।

(নেহাৎ শখ করে লিখি, তাই অজস্র ভুলত্রুটি থাকবেই। The pens of others might be mightier than the sword, but mine certainly is not; তাই, না হয় একটু শিশু ভেবেই মার্জনা করে দেবেন।)

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started